নক্ষত্র
~ সৈকত দাস
কখনো মনে হয় আমি এক বৃহৎ নক্ষত্রের অংশ!
বহু আলোকবর্ষ দূরে, কোনো এক নক্ষত্রের বিস্ফোরণে—
আমার জন্ম।
এক ব্রহ্মাণ্ড থেকে আর এক ব্রহ্মাণ্ডে ছুটে চলেছি আমি,
এ যেন এক অনন্ত যাত্রা!
কত আঘাত, কত সংঘর্ষ,
আমাকে করেছে টুকরো টুকরো,
কত গ্রহ উপগ্রহকে আমি করেছি ধুলিস্যাৎ!
কখনো হেরেছি, কখনো জেগে উঠেছি
বিজয়লক্ষ্মীর ডাকে।
হয়তো কোনদিন আমিও মিলিয়ে যাবো
সেই কৃষ্ণ গহ্বরে—
যে আমাকে প্রতি মুহূর্তে ডাকে!
রাজরাজ মহেশ্বর জেগে উঠবেন,
তাঁর নৃত্যছন্দে ঝঙ্কৃত হবে খমন্ডল!
তাঁর সৃষ্টির ব্রহ্মাণ্ডগুলির সাথে আমিও
তার সাথে আমিও তৈরি করবো সেই মহাডিম্ব,
থেমে যায় সময়ের কলধ্বনি,
হারিয়ে যায় আলোক বিন্দু,
সে এক নীরবতা...
নিশ্চিদ্র নীরবতা!
তারপর একদিন ধ্বনিত হবে প্রণব ধ্বনি—
আমার মনে প্রাণে আবার পুলক জাগবে
ওঙ্কারের স্পর্শে!
সেই সৃষ্টির মুহূর্ত ফিরে আসবে পুনর্বার।
পঞ্চভূতের ঘটবে সমন্বয়!
কালচক্র শুরু করবে ঘুরতে আবার!
আমি সাক্ষী হিসেবে দেখে যাবো সব,
আর কর্মী হিসেবে করে যাবো আপন কাজ।
আমার তো মৃত্যু নেই!
নেই তোমারও।
আমি তো জন্মরহিত! অক্ষয়! অমর!
তুমিও তাই।
তাই ভয় পেয়ো না! অন্তরে বলো—
অভীঃ! অভীঃ! অভীঃ!
সকল বাধা ভয় তুচ্ছ করে এগিয়ে চলো— আমার মতন!
এ সৃষ্টির ওঠা পড়ায়, ভাঙ্গা গড়ায়, হয়ো না বিচলিত।
সৃষ্টি নেই তোমার, নেই লয়!
তুমি, আমি— অনাদি, অনন্ত!
সেই নক্ষত্রের মতো!
শিবোঽহম্! শিবোঽহম্!
Saikat,Ami Nabendu. This what I have read is absolutely majestic and innovative. Keep on SAIKAT- E -JANAK .(HOPE you understand me 😜)
ReplyDeleteThank you ভাই!
DeleteDarun darun......
ReplyDeleteThanks 🙂
DeleteValo howchw re
ReplyDeleteThanks 🙂
DeleteYou writing is very good with a very appealing taste of imagination and innovation
ReplyDelete