কেয়ামত
~ সৈকত দাস
গুজরাটের বুক ছিন্নভিন্ন করে অসমের দিকে
পশ্চিমে দ্বারকার দেশ থেকে সূর্যোদয়ের দেশের দিকে
এগিয়ে আসছে নরপিশাচের দল:
দাঁত নখ তাদের, শাণিত ছুরির ফলার মতো!
তাকিয়ে দেখো, তারা ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে সংবিধানের পাতাগুলো—
মানুষের সংবিধান, যার মাঝে তারা ঢুকিয়ে দিচ্ছে
নিজেদের পচা গলা আত্মার অবাঞ্ছিত অংশ!
ওই দেখো,
নরমেধযজ্ঞের পুরোহিত ঘুরছে মানুষের বাড়ির বাইরে!
দূরে বসে তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে একদল পিশাচ
আর তাদের রোখার নামে,
গ্রামের ঘরগুলোকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে
একদল মানুষ— না না ও তো মুখোশ!
সুচেতনা, ওই মুখোশ খুলে দিতে পারবে না তুমি?
তোমার লেখনীর আঁচড়ে ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারো না তাদের—
যারা সুস্থ মানুষের হৃৎপিণ্ডগুলোতে এঁকে দিয়েছে গভীর ক্ষত?
এই মাটি একদিন শস্যে ভরে উঠেছিল যাদের ঘামের স্পর্শে,
এই বাতাসে যাদের প্রার্থনার শব্দে রোজ ভোরে ঘুম ভাঙত আমাদের,
আর আমরা দুজনে প্রার্থনা করতাম সকলের মঙ্গল চেয়ে,
তাদেরকে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছে পশুগুলো—
তুমি ভেবেছিলে কোনোদিন?
রক্তপায়ী শাসককে আমরা কেন ডেকে এনেছিলাম?
কেন পারিনি বন্ধু আর শত্রুতে পার্থক্য করতে?
কেন তাদের বানানো মিথ্যার চশমা পরে
আমরা তাদের ইশারায় নেচে চলেছি এতদিন—
ভাবতে পারছ?
ইসরাফিলের শিঙার শব্দ কি শোনা যাচ্ছে? সুচেতনা!
©সৈকত দাস
২৭ শে অগ্রহায়ণ, ১৪২৬
No comments:
Post a Comment