ন্যায়
~ শ্রী সৈকত
সারারাত ধরে শুধু কেঁদেছিল ওরা
হয়তো একটু জলও পায়নি চেয়ে।
ওরা হয়তো চোখের জল পান করতে পারতো!
অপরাধ ছিল গুরুতর:
নির্দিষ্ট সময়ের বেশি সময় ধরে দোকান খুলে রেখেছিল।
তবে, ওরা হয়তো বড়লোক হলে বেঁচে যেত।
অকথ্য অত্যাচারের খবর পৌঁছে গেছিল বহুদূরে—
উর্দিধারী গুন্ডাদের হাতের লাঠি ঢুকে যাচ্ছিল
তাদের শরীরের ভেতরে…
ওদের সহ্য ক্ষমতার একটা সীমা ছিল হয়তো।
ডাক্তার এসেছিল কিন্তু সেও,
আইনের গুন্ডার ভয়ে মিথ্যা রিপোর্ট লিখেছিল।
ওদের দেহের রক্তে বারবার ভিজে যাচ্ছিল
ওদের পোশাক আর ন্যায়ের মন্দিরের পবিত্র মাটি!
ওরা নালিশ করতে পারেনি,
‘ন্যায়ের’ বিরুদ্ধে নালিশ করা যায় কখনো?
ওরা বাড়ি ফিরতে পারেনি,
পশুর আস্তানা থেকে কেউ কি বাড়ি ফিরতে পেরেছে কোনোদিন?
যাওয়ার সময় ওদের চোখের কোণে কি অভিমান লেগে ছিল—
নাকি অভিশাপ?!
© শ্রী সৈকত
১৫ ই আষাঢ়, ১৪২৭
আপনার কলম গর্জন করে। এটা অনেক কবির কলমে অনুপস্থিত। এখানেই আপনি আলাদা।
ReplyDelete